১৬ তারিখ গভীর রাতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রহরারত সিআইএসএফ কর্মীদের একটি ট্যাক্সিকে দেখে সন্দেহ হয়। তাঁর যেই ট্যাক্সিটিকে থামতে বলেছেন, সঙ্গে সঙ্গে পিছনে বসে থাকা যুবকটি লাথি মেরে ট্যাক্সি থেকে চালককে ফেলে দেয়। তারপর নিজে ড্রাইভারের আসনে বসে খুব জোরে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
রক্ষীরা অতি কষ্টে তাকে ট্যাক্সি থামাতে বাধ্য করেন। গাড়ি থেকে নেমেই সে চড়াও হয় সিআইএসএফ কর্মীদের ওপরে। দুজনকে ঘুষি মারে। একজনের কোমরে থাকা পিস্তল কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অপর এক রক্ষী নিজের পিস্তল থেকে শূন্যে দুই রাউন্ড ফায়ার করেন। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।
পরে জানা যায়, যুবকটির নাম শংকর। বয়স ২৭। দিল্লির সঙ্গম বিহারে থাকে। একটি নাইট ক্লাবে বাউন্সারের কাজ করত। তাকে সিআইএসএফ অফিসাররা শেষ পর্যন্ত মাটিতে ফেলে বেঁধে ফেলেন। দিল্লি পুলিশ তাকে হেপাজতে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শংকর মানসিক অবসাদে ভুগছে। ঘটনার সময় মদ্যপানও করেছিল। তার কাছে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার যোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু কেন সে রাতে বিমানবন্দরের দিকে আসছিল জানা যায়নি। তার কোনও প্লেন ধরার কথা ছিল না। সে কয়েকদিন বাড়িতেও ফেরেনি। তার দাদা থানায় শংকরের নামে মিসিং ডায়েরি করিয়েছিলেন।
Be the first to comment