ভোর প্রায় পাঁচটা। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের বাইরে তখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা। ছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণ পর তিনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাক বেরিয়ে এল সেরাম ইনস্টিটিউটের ভিতর থেকে। গন্তব্য বিমানবন্দর। ট্রাকগুলির ভিতরে ছিল কোরোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজই পৌঁছে যাবে এই প্রতিষেধক। প্রথম দফায় কলকাতায় পৌঁছাবে কোভিশিল্ডের প্রায় সাড়ে ১০ লাখ শিশি।
ট্রাকগুলিতে মোট ৪৭৮টি বাক্স রয়েছে কোভিশিল্ডের। এক একটির ওজন ৩২ কেজি । আজ সকাল ১০টার মধ্যে বিভিন্ন শহরের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কোরোনার ভ্যাকসিন। পুনে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মোট আটটি বিশেষ বিমানে কোভিশিল্ড পৌঁছে দেওয়া হবে ১৩টি আলাদা আলাদা গন্তব্যে। প্রথম বিমানটি উড়ে যায় দিল্লির উদ্দেশে। পাশাপাশি কলকাতা, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কুর্নুল, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াড়া, গুয়াহাটি, লখনউ, চণ্ডীগড় ও ভুবনেশ্বরেও আজই আকাশপথে পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন। এছাড়া সড়কপথে মুম্বইতেও তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে কোরোনার টিকাকরণ শুরু হবে। প্রথম দফায় তা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। তার পর দেওয়া হবে প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধাদের। এর পরের ধাপে টিকা পাবেন পঞ্চাশোর্ধরারা যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে।
Be the first to comment