উত্তপ্ত দিল্লি । আজ সিলামপুরে ভাঙচুর করা হল একটি স্কুলবাস । বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগায় পুলিশ ফাঁড়িতে । পুলিশের অভিযোগ বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে । বাস লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হয় । তারপর জমায়েতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । পরিস্থিতি সামলাতে ফাটানো হয় কাঁদানো গ্যাসের শেল । ঘটনায় জখম দুই পুলিশ কর্মী । এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ।
এদিকে, আজ সকালে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তবে এই দশজনের মধ্যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী নেই বলে জানা যায় । পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ জনের নামেই ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে । এরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামিয়া ও ওখলা এলাকার বাসিন্দা ।
রবিবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯-এর প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে দিল্লির জামিয়া চত্বর । দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির জামিয়া রোডে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ হয় । ভাঙচুর করা হয় একাধিক বাস । আগুনে পোড়ে ৪টি বাস । ঘটনায় জখম হয় উভয় পক্ষেরই কয়েকজন । আঙুল ওঠে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দিকে । তবে, পড়ুয়ারা পালটা অভিযোগ করে, ঘটনায় বহিরাগতরা ছিল । তাদের কেউ এমন কাজ করেনি । এরপর সারারাত ধরে চলে সেই বিক্ষোভ । ঘেরাও করা হয় থানা । পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইট-পাথর । অভিযোগ, পালটা অভিযোগে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে । বিক্ষোভের আঁচ ছড়ায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও । সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরাও বিক্ষোভে সামিল হয় ।
আজকের পরিস্থিতি সম্পর্কে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বেলা ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয় সিলামপুর এলাকায় । বিক্ষোভকারীরা স্কুলবাসকে টার্গেট করেছিল । যাতে যাতে পরিস্থিতির অবনতি না হয়, তাই পুলিশ পথে নামে । কিন্তু পুলিশের থেকে বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল । তারা পাথর-ইট ছুড়তে শুরু করে । জখম হয় একাধিক পুলিশ কর্মী ।
Be the first to comment