করোনা মহামারীর মধ্যেই এবার পঙ্গপাল হানার আতঙ্কে এবার প্রমাদ গুণছে দিল্লি। শনিবার সকালে গুরুগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিল আর এগিয়ে বর্তমানে তারা এখন দিল্লির উপকণ্ঠে চলে এসেছে। ইতিমধ্যে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজধানীতে।
সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে খবর, দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে গুরুগ্রাম-দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় পঙ্গপালের দলের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে পাইলটদের সতর্ক করে দিয়েছে দিল্লি ট্রাফিক কনট্রোল। বিমানের অবতরণ এবং টেক-অফের সময় পাইলটদের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে গুরুগ্রামের আকাশ পতঙ্গে ঢেকে যায়। সাইবার হাব এলাকার কাছে আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল উড়তে দেখা গিয়েছে। একই দৃশ্য ধরা পড়েছে দিল্লির ছত্রপুর এলাকায়। সেই ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের ঘরের সমস্ত দরজা-জানালা সব বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। না হলে পঙ্গপালের দল ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়বে।
পাশাপাশি সম্ভব হলে গাছ প্লাস্টিকের চাদরে ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। রাতে পঙ্গপালরা উড়তে পারে না। ফলে এই সময় ঘরে ব্যবহৃত কীটনাশক পঙ্গপালদের উপরে স্প্রে করে তাদের ধ্বংস করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।
পঙ্গপালের ঝাঁক ইতিমধ্যেই রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার পরে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় ক্ষতি হয়েছে শস্যের। গুরুগ্রাম এবং রেওয়ানি জেলায় তাদের দেখা মেলার পরে রাজ্যজুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে হরিয়ানা সরকার। সবুজ ধ্বংসকারী ওই যাযাবর পতঙ্গবাহিনীকে জব্দ করার জন্য় সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে। শস্য রক্ষা করতে কৃষকদের কীটনাশক স্প্রে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই তা ব্যবহার করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই কেন্দ্রীয় সরকারও। কেন্দ্রের তরফে ১১টি কনট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গবেষণায় প্রকাশ, পঙ্গপালকে আগ্রাসী করার নেপথ্যে রয়েছে সেরোটোনিন রাসায়নিকের হাত। হ্যাপি কেমিক্যাল’ হিসেবে পরিচয় এই রাসায়নিক আপনার-আমার শরীরেও আছে। সেই সেরোটোনিন-ই স্বভাবত একলা থাকা ফড়িংকে পঙ্গপাল করে তোলে!
Be the first to comment