দিল্লি আইআইটির হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু! উদ্ধার রাজ্যের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ

Spread the love
দিল্লিতে হস্টেলে আইআইটি ছাত্রের আত্মহত্যা। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির বাসিন্দা বছর একুশের এমএসসির ওই ছাত্রের নাম নাড়ুগোপাল মালো। পুলিশ তার ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। যা দেখে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্র। শিশু বয়স থেকেই তাকে যৌন নিগ্রহ করা হত বলে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্র।বাংলায় লেখা সুইসাই় নোটে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গিয়েছে ওই ছাত্র। পুলিশকে শুক্রবার সকালে ৮.০৫ নাগাদ এই ঘটনার কথা জানানো হয়। ঘরে থাকা অন্য পড়ুয়া ফিরে গিয়ে নাড়ুগোপালকে পায়জামা দিয়ে ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখেন।
বিছানার পাশে রাখা টেবিলে সুইসাইড নোটটি পাওয়া যায়। সফদরজং হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
নাড়ুগোপাল মালোর দাদা পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বেচুরাম মালো পুলিশকে জানিয়েছেন, ১০ এপ্রিল ঘুমের ওষুধ খেয়ে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। এরপর তাকে সফরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দাদা নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে দুদিন ধরে বোঝান। বৃহস্পতিবার নাড়ুগোপালকে হস্টেলে পৌঁছে দেন তাঁর দাদা।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে নাড়ুগোপালের কথা হয় বলে জানিয়েছে পরিবার। তাঁর কথা শুনে পরের দিনের তার অবস্থান সম্পর্কে কোনও কিছু কল্পনাও করা যায়নি।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের পর পসকো আইনে মামলা করে তা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে তার স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর সে দিল্লি আইআইটিতে সুযোগ পায়।
পরিবার জানিয়েছে, কলকাতায় থাকার সময়ে সে কোনও রকমের যৌন নিগ্রহের কথা বলেনি কিংবা তার মধ্যে অবসাদের চিহ্নও লক্ষ্য করা যায়নি। সুইসাইড নোটটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
হুগলির বাসুদেবপুরের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা এই নাড়ুগোপাল। তিনভাইয়ের মধ্যে নাড়ুগোপাল ছোট। বাবা শ্যামল মালো স্থানীয় কালীতলা বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন। এখন তিনি না পারায় বড় ছেলে গোবিন্দ ব্যবসা সামলান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*