থমথমে রাজধানী ৷ গত কয়েকদিন ধরে ঘটে চলা হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩-এ । দিল্লির একাধিক এলাকায় আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷ সবমিলিয়ে আজ (শনিবার) সকাল থেকে দিল্লির পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল৷ নিত্যযাত্রীরা বেরিয়ে পড়েছিলেন অফিসের পথে ৷ রাস্তাঘাট, মেট্রো স্টেশনে ভিড়ও চোখে পড়েছে আজ ৷ আচমকা দিল্লির ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশনে স্লোগন দিতে শুরু করল বেশ কয়েকজন । মাথায় গেরুয়া টুপি, সাদা টি-শার্ট পরা কয়েকজন বলতে শুরু করল, ‘দেশকে গদ্দারো কো, গোলি মারো..’। মুহূর্তেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় স্টেশন চত্বরে । ঘটনায় ছ’জনকে আটক করেছে পুলিশ ।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা যায়, সকাল ১০টা ৫২ মিনিট নাগাদ মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করে মেরে ফেলার স্লোগান দিতে শুরু করে । নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ওই ব্যক্তিদের আটক করে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেন । স্টেশনে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেছে, রাজীব চকে একটি মেট্রো এসে থামতেই স্লোগান দিতে শুরু করে ওই ব্যক্তিরা । ইতিমধ্যেই দিল্লি হিংসার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ানো ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে ৪০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ এরই মাঝে মেট্রো স্টেশনে এ জাতীয় স্লোগানে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷
মাসখানেক আগে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ার দৌলতে । সেখানে দেখা গিয়েছিল, নির্বাচনী প্রচারে কয়েকজনকে একই স্লোগান দিতে সমর্থন করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর । বিজেপি নেতা অভয় ভার্মার বিরুদ্ধেও ”গোলি মারো” স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো ৷
Be the first to comment