ফ্ল্যাটের ভিতরে পড়ে রয়েছে মা ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। হাত-পা শক্ত করে বাঁধা। গলার নলি কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। দেহ উদ্ধারে এসে শিউড়ে উঠল পুলিশ।
ঘটনাটা দিল্লির মিয়ানওয়ালি এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে বাড়িতে কাজ করতে ঢুকে পরিচারিকাই দু’জনের দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। চিৎকার করে সেই প্রথম খবর দেয় প্রতিবেশীদের। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, মৃতদের নাম শশী তলওয়ার এবং তাঁর মেয়ে নিধি। দু’জনকেই গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার আগে তাঁদের মুখ ও হাত ভাল করে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
শশীর স্বামী মারা গিয়েছেন বছর দুই আগে। বাড়িতে মেয়ের সঙ্গে তিনি একাই থাকতেন। মেয়ে ছাড়াও শশীর দুই ছেলেও রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন থাকেন কানাডায়, অপরজন মুম্বইতে।
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ডাকাতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ, তল্লাশিতে দেখা গেছে আলমারিতে জিনিসপত্র পরিপাটি রয়েছে। লকারও তালা বন্ধ। তাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও গোপন শত্রুতা থেকে এই খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে পরিবারেই কেউ। এক তদন্তকারীর কথায়, “ঘটনাস্থলে দু’টি চায়ের কাপ পড়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে বাড়িতে কোনও অতিথি এসেছিলেন। ”
বাড়ির ভিতরে ও বাইরে কোনও সিসিটিভি লাগানো নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাই ওই নির্দিষ্ট সময় বাড়িতে কাদের আগমন ঘটেছিল সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে, ঘটনার তদন্ত শউরু হয়েছে। খু দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment