ছবি সৌজন্যে- (এএনআই)
গাড়া বাবাকে হন্যে খুঁজছে পুলিশ। দিল্লির বুরারিতে ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের মৃত্যুর সঙ্গে এই তান্ত্রিক বাবার যোগ রয়েছে বলে মনে করছে তারা। গাড়াবাবা বটগাছের সঙ্গে জড়িত কোনও তুকতাক করাতেন। এই বাবাই ভাটিয়াদের মাথায় এই সব ঢুকিয়েছে। যে ডায়েরি তাদের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে তাতে বটগাছ নিয়ে নানারকম কথা লেখা রয়েছে। এই সূত্র ধরেই মৃত্যু রহস্যের মূলে পৌঁছতে চাইছেন গোয়েন্দারা। তাতে লেখা রয়েছে, মৃতদেহগুলো যেন বটের ঝুড়ির মতো দেখতে হয়। নোটে বটতপস্যারও উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, এটা করলে ভগবান খুশি হবেন। জানা গিয়েছে, পরিবারের মধ্যে ললিত ভাটিয়ার তন্ত্রে আগ্রহ ছিল। কয়েকবছর আগে তার ছেলে অসুখে বোবা হয়ে পড়ে। তান্ত্রিকমতে পুজোআচ্চা করে সে কণ্ঠস্বর ফিরে পায় বলে তার বিশ্বাস। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, ললিত আর তার স্ত্রী টিনা সবশেষে মারা গিয়েছেন। তাদের ছেলে ১৫ বছরের শিবমও মৃতদের মধ্যে রয়েছে। ডায়েরির হাতের লেখা ললিতের বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, মানবশরীর ক্ষণস্থায়ী। ভয়কে জয় করতে নিজেদের চোখ-মুখ ডেকে নিতে হবে। নিহতদের সবারই মুখ চাদরের টুকরো দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে এই পরিবারের মেয়ে সুজাতা জানিয়েছেন, কোনওরকম তন্ত্রে তারা বিশ্বাস করতেন না।
Be the first to comment