CAA ইস্যুকে কেন্দ্র করে সমর্থনকারী ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। নিমেষের মধ্যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, ব্রক্ষপুরী ও গোকুলপুরী রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। কোথাও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি, আবার কোথাও জ্বলছে দোকান। রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ঘটি, বাটি, টেলিভিশন সেট। দেখলে মনে হবে যেন যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা।
ঘটনার চার দিন কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তন নেই। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ঘটনার প্রথম দিনে মৃতের সংখ্যা যেখানে ছিল পাঁচ জন। বৃহস্পতিবার ঘটনার পঞ্চম দিনে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জন। আর জখম প্রায় ২৫০ জন।
রাজধানীর এই পরিস্থিতিতে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাসও দিয়েছেন।
বিদেশমন্ত্রকের তরফেও সবদিক খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাবীশ কুমার বলেন, “USCIRF-এর তরফে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা আমরা শুনেছি। দিল্লির হিংসা নিয়ে মিডিয়ার তরফে কিছু রিপোর্টও আমরা দেখেছি। এই সব ক্ষেত্রেই দিল্লির ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনতও সমস্তরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
সরকারের তরফে সবরকমের আশ্বাসের পরেও থমথম করছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, গোকুলপুরী, ব্রক্ষপুরী ও চাঁদবাগ এলাকা। বন্ধ স্কুল, দোকানপাট। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।
দিল্লির এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার টুইট করে দিল্লিবাসীদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তবে এতকিছুর পরও দিল্লির পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
Be the first to comment