জঙ্গল থেকে শহরে এসেছে ডেঙ্গুর মশা। সেই কারণেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে জঙ্গলের রোগ ঘাঁটি গাড়ছে শহরে। এমনটাই মনে করেন হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপিন পারমার। বিধানসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে এই নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেন তিনি। বলেন, গোটা বিষয়টি নিয়েই অনেক তথ্য ঘেঁটেছেন তিনি। ডেঙ্গু মশার আদি বাসস্থান ছিল মধ্য আফ্রিকা, উগান্ডা সহ মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে। প্রায় ৩০ বছর আগে ডেঙ্গু আসে ভারতে। হিমাচলপ্রদেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে ১৯৯৫ সালে। ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি। তিনি আরও দাবি করেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে অনুচক্রিকার সংখ্যা মারাত্মক কমে যায়। এমন কোনও ইনজেকশন নেই যা দিয়ে এই অনুচক্রিকার পরিমাণ বাড়ানো যায়। মোট ৪,৯৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রায় দেড় হাজারের রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু রোগের জীবানু ধরা পড়েছে। শীর্ষে রয়েছে বিলাসপুর জেলা। ২৮ মে সেখানে প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর মেলে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিশ মশা। আর বদ্ধজলে এই মশা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। তাই যেখানেই জলাবদ্ধতা রয়েছে, সেখানেই এডিশ মশা বংশ বিস্তার করে।
Be the first to comment