ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু। আবারও ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড। কুঁদঘাটের ব্যানার্জি পাড়া রোডে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। নাম অঞ্জলি চক্রবর্তী (৯০)। এমআর বাঙুর হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে কলকাতা পুরনিগমের ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, কলকাতায় এখনও অবধি ডেঙ্গিতে যে ১০ জন মারা গিয়েছেন তাঁর মধ্যে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডেরই চার জন রয়েছেন।
পুরনিগম ও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, চলতি বছরে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করে গিয়েছে। গত সপ্তাহে হু হু করে বেড়েছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু। দক্ষিণ কলকাতা ও সংযোজিত এলাকাগুলিতে রীতিমতো হুমকির আকার নিচ্ছে সংক্রমণ। ১০৫, ১০৬, ১০৭,১০৯, ১১৫, ১২১ এই ছয় ওয়ার্ড নিয়ে বিশেষ ভাবনা পুরপ্রশাসনের।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চ্যাটার্জি বাগানে মৃত্য়ু হয় কৃষ্ণা গঙ্গোপাধ্যায়ের (৫৬)। বেশ কিছুদিন জ্বরে ভুগছিলেন ওই মহিলা। টালিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ক্রমেই অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। হাইল্যান্ড পার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সোমবারই ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অজেয় সংহতির পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ শোনা যায় তাঁর গলায়। মমতা বলেন, “কোভিড গেল তো ডেঙ্গি এল। ডেঙ্গি এক বছর হয় তো এক বছর হয় না। ব্যাপারটা খুবই খারাপ। এই জিনটা আগে কখনও আসেনি। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, রক্তপরীক্ষা করিয়ে নেবেন। ভাইরালও হচ্ছে, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু একটু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল। ব্লাডটা কমে গেলে তা দিতে পারে। হাতের সামনে যখন চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, তখন সেই চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি। বর্ষাটা হওয়ার পর ডেঙ্গিটা কেউ বলছে কমবে, কেউ বলছে বাড়বে। আমি তো আর গবেষক নই, যে বলতে পারব। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হলে ডেঙ্গিটা কমে যাবে।”
Be the first to comment