অমিত শাহ নকল করতে ভালবাসেন, পাল্টা দিলো তৃণমূল

Spread the love

মঙ্গলবার বিজেপির ভার্চুয়াল সভা থেকে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে নিজের বক্তৃতায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন তিনি। অমিত শাহ এদিন কটাক্ষ করে বলেন, শ্রমিক স্পেশালকে করোনা এক্সপ্রেস বলে পরিযায়ীদের অপমান করেছেন মমতা। ওই এক্সপ্রেসেই রাজ্যছাড়া হবে তৃণমূল।

তবে এদিন অমিত শাহের প্রতিক্রিয়ার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের  রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের গরু-ছাগলের মত ট্রেনে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ এই প্রশ্নের জবাব দিন।

ডেরেক আরও বলেন, কোন মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বীমা করেছেন ? অমিত শাহ এই প্রশ্নের জবাব দিক। তিনি জানান, আমফানের তাণ্ডবের পর কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০০ কোটি টাকা পেয়েছি। কিন্তু ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকার। এখনও বাকি টাকা দেয়নি কেন্দ্র।

ডেরেক আরও বলেন, দেশের জিডিপি-র থেকে রাজ্যের অবস্থা অনেক ভালো। পিএম কেয়ারস তো পিএম প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অমিত শাহ শুধু বিজেপির নেতা নন, তিনি তো দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।

এছাড়া এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্য যা করেছে, কেন্দ্র তা নকল করার চেষ্টা করছে। মোদী সরকার হলো নকলি মহারাজ। রাজ্যের ৭.৫ কোটি পরিবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়। ৫ লক্ষ টাকার বীমা করা হয়েছে। ১৫১৮টি হাসপাতাল এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়। পরে কেন্দ্র আনলো আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প, এটা শুধুই নকল।

অমিতবাবু আরও বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কত টাকা দিয়েছে কেন্দ্র? উত্তর – শূন্য। শুধু খাবারের জন্য কিছু টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কাকে টাকা দিয়েছেন, কোন ফান্ডে গেছে? ক্ষুদ্র শিল্পে কেন কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র ? ক্ষুদ্র শিল্পের এমন হাল হয়েছে যে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ভারতবর্ষের নেতৃত্বের ওপর আস্থা নেই মানুষের। দেশের অর্থনীতিকে কোথায় নিয়ে যাবে এই সরকার কেউ জানে না। দেশের অর্থনীতি লাইনচ্যুত। উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যে চাকরি নেই ৩৪ শতাংশের। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই ১৭ শতাংশের।

তৃণমূল আরও বলেছে, গোটা বক্তৃতায় অমিত শাহ হাজারো অসত্য তথ্য দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক বলেন, “অমিত শাহ বলেছেন রাজ্যে নাকি কেন্দ্রের টাকায় দশ কোটি শৌচালয় হয়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। রাজ্যে শৌচালয় হয়েছে ১.৩৪ কোটি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*