চলতি বিধানসভা ভোটে জোড়া ফুলের প্রার্থী তালিকায় থাকতে চলেছে একাধিক তারকা প্রার্থী। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়েছেন এক ঝাঁক তারকা। সূত্রের খবর, এই তারকাদের একাধিক জন এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন। কিন্তু ভোটে দাঁড়িয়ে তারকাসুলভ আচরণ করলে মানুষের কাছে পৌঁছতে অসুবিধা হবে।
তাছাড়া তথ্য-পরিসংখ্যান বা কেন্দ্রীয় স্কিমের সঙ্গে রাজ্যের স্কিমের ফারাক তাঁরা বোঝেন না বা অনেকের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য নেই। এই অবস্থায় তৃণমূলে আসা সেলেবদের ‘অ-আ-ক-খ’ শেখালেন ডেরেক’ও ব্রায়েন।
এই ক্লাসে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, কেন কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের চেয়ে স্বাস্থ্যসাথী ভাল প্রকল্প, কেন কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর থেকে মমতার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প বড় জনমুখী প্রকল্প। তাছাড়া গত কয়েক বছরে রাজ্যে এই ধরনের প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেটাও শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া হয় তারকাদের।
পাঠশালার শিক্ষক সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের কথায়, “রাজনীতি একটা সিরিয়াস বিষয়। জনগণের সামনে পৌঁছতে হবে যাবতীয় তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়ে। তবে তা অবশ্যই সঠিক হতে হবে।” এদিন পাঠশালার শেষে ঝকঝকে দেখাল ছাত্র-ছাত্রীদেরও। ক্লাসে হাজির ছিলেন চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
তিনি জানান, “বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অবহিত। কিন্তু তথ্যপরিসংখ্যান আমাদের হাতে রাখতে হবে। প্রচারে বেরিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে, কেন মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই চাই।” রণিতা দাস জানাচ্ছেন, “আমি রাজ্য সরকারের স্কিমগুলোর নাম জানি। কিন্তু সেই স্কিমের কাজ কীভাবে করা হয়, কারা প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকেন, এই সব কিছু জেনে নিচ্ছি।” পরিচালক সুদেষ্ণা রায় জানাচ্ছেন, কোনও ঘটনা সত্যিমিথ্যা যাচাই না করে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেব? তাই ফেক ভিডিয়ো নিয়েও পাঠ পেলাম। উল্লেখ্য, এদিন নিমতিতার বৃদ্ধা নির্যাতনের ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো ফুটেজ ভুয়ো এবং বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তা ব্যবহার করছে বলে শিক্ষা দেওয়া হয়।
ক্লাস শেষে তারকাদের হাতে একটি বইও তুলে দেন ডেরেক। তাতে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের খতিয়ান। একুশের ভোটে রাজনীতির ময়দানে নেমে যাতে ঠোক্কর না খেতে হয় তাই ডেরেকের পাঠশালায় পাঠ নিলেন এই টলি তারকারা।
Be the first to comment