কেন্দ্রের উদ্যোগে ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে। কেউ প্রথম বর্ষ, কেউ আবার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বা ছাত্রী। বেশিরভাগই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পড়ুয়া। এতগুলো টাকা খরচ করে যাঁরা ডাক্তারি পাশ করার আশায় ইউক্রেনে গিয়েছিলেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বহু পরিবার তাঁদের কষ্টের উপার্জনের টাকা খরচ করে সন্তানকে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলেন। সুস্থভাবে তাঁরা ফিরে আসায় পরিবার খুশি, কিন্তু মাঝপথেই স্বপ্ন থেমে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন অনেক পড়ুয়াই। এই অবস্থায় কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ কিছু পরামর্শ বা দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যু নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে বিবৃতি দিতে হবে।
সোমবার রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন এই দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি জানান, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। ওই ছাত্র বা ছাত্রীদের পড়াশোনার কী ব্যবস্থা হবে, তা নিয়েও কিছু জানানো হয়নি। তাই রাজ্যসভায় সরব হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন, বিষয়টা স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৯১। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, দেশে মেডিক্যাল পড়াশোনা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (NMC) কর্তৃক পরিচালিত হয়। তাই বেশ কিছু পরামর্শ দিতে চান তিনি।
মমতার দাবি, যে সব শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাঁদের রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভাতা সহ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে হবে। যিনি যে বর্ষের শিক্ষার্থী, তাঁকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সেই বর্ষেই ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। সেই হিসেব মতো আসন সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনএমসি-র নিয়ম অনুযায়ী যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যাশনাল এন্ট্রান্স এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হন, তাঁরাই একমাত্র মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারেন। সেই গাইডলাইন কিছুটা শিথিল করার আর্জিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোর্সের ফি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এইসব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
Be the first to comment