ত্রিপুরায় আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে রাখা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরায় চলে এলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বৃহস্পতিবার আসছেন না। সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুর-বিকেলের দিকে ত্রিপুরা চলে আসবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলায় নেমে ডেরেক বলেন, ‘শুধু এখানে নয়, সারাদেশে মোদী-শাহ (নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ) যা শুরু করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর।’ সেইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, বাংলার ভোটের সময় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করেও বিজেপিকে জেতাতে পারেননি মোদী-শাহ। তাই এখন ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘এখনও তো ম্যাচ তো শুরু হয়নি। তাতেই ভয় পাচ্ছে (বিজেপি)।’
ইতিমধ্যে ত্রিপুরার হোটেলে ‘বন্দি’ থাকা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ সদস্যের আরটি-পিসিআর টেস্ট (করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা) নেগেটিভ এসেছে। তারপরই মঙ্গলবার রাতের দিকে তাঁদের ছাড়া হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ত্রিপুরা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। সেইসঙ্গে আগামী ১ এবং ২ অগস্ট তাঁদের আগরতলা থানায় (পূর্ব) তলব করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মামলা।
এমনিতে ২০২৩ সালে বিধানসভা ভোটের আগে সেখানকার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাবনা পরখ করতে সম্প্রতি ত্রিপুরায় যান প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার ২৩ জন সদস্য। কিন্তু সোমবার আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলেই তাঁদের থাকার নির্দেশ দেয় পুলিশ। জানানো হয়, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত পিকের সংস্থার সদস্যদের হোটেলেই থাকতে হবে। পুলিশের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে জারি করা কার্ফুর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল দলটি। তাই ‘রুটিন চেক-আপের’ জন্য হোটেলে যাওয়া হয়েছিল।
যদিও বিষয়টি এত সহজে ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল বরং সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরায় নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তারই অঙ্গ হিসেবে বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বুধবার ত্রিপুরায় এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
Be the first to comment