নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মোদী-মমতার

Spread the love

 বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা, নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ সহ একাধিক সামাজিক বিষয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা একটি বিবৃতি জারি করে তাঁর মৃত্যুর খবর সামনে আনেন।

তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা বিশ্বে। আর্চবিশপের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন,’বিশ্বের বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন ডেসমন্ড টুটু। মানবতা ও সাম্যের প্রতি তিনি যে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই মৃত্যুসংবাদ পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং তাঁর ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

এদিকে, ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি একটি টুইটে বলেন, ‘আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু বহু মানুষের জন্য কণ্ঠ তুলেছেন। সমাজের উন্নতির জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং বিশ্ববাসীর হৃদয়ে তিনি বিশেষ স্থান দখল করেছেন। তাঁর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিজন এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।’ উল্লেখ্য, ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বিশ্বের বহু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ‘ডেসমন্ড টুটু অসামান্য ব্যক্তিত্ব। আজকের দিনটি দেশবাসীর জন্য শোকের দিন। একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। দেশের স্বাধীনতার নেপথ্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’

উল্লেখ্য, ডেসমন্ড টুটু দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের জন্য চলা আন্দোলনের অন্যকম পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ডেসমন্ড টুটু।

উল্লেখ্য, ১৯৩১ সালে ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত আসেন। গোটা বিশ্বে তাঁর অসংখ্য অনুগামী রয়েছে। কিন্তু, ডেসমন্ড টুটুর শরীরে বাসা বেধেছিল কর্কট রোগ। কিন্তু, এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি বহু মানুষের অধিকারের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*