শনিবার সাতসকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৷ এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার ৷ আর শপথ নিয়েই বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বক্তব্য, খিচুড়ি নয়, স্থায়ী সরকার দরকার মহারাষ্ট্রে ৷
২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল ঘোষণা হয়েছে ৷ কিন্তু, কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ৷ ২৮৮ আসনের বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি, ১০৫টি ৷ আর ভোটের সময় তাদের সঙ্গী শিবসেনা পায় ৫৬টি আসন ৷ NCP জেতে ৫৪টি আসনে এবং কংগ্রেস পায় ৪৪টি আসন ৷
ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে শিবসেনা এবং বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ৷ শিবসেনা দাবি করে, আড়াই বছর করে দুটি দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ৷ তাতে রাজি হয়নি বিজেপি ৷ এরপর NCP এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করে শিবসেনা ৷ এই তিনটি দল মিলে সরকার গঠনের পথে এগোতে থাকে ৷ শুক্রবারই তিন দলের বৈঠক শেষে NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বলেন, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে সর্বসম্মত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এই তিন দল খুব শিগগির সরকার গড়ছে বলে জল্পনা ছড়ায় ৷
এই জল্পনার মাঝেই শনিবার সকালে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন NCP বিধায়ক দলের নেতা অজিত পাওয়ার।
আর শপথ গ্রহণ শেষে বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেন দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷ বলেন, জনগণ স্পষ্ট জনাদেশ দিয়েছে ৷ কিন্তু, ফল ঘোষণার পর শিবসেনা অন্যদলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের চেষ্টা করে ৷ যার জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় ৷ বিরোধীদের আক্রমণ করে এরপরই তিনি বলেন, কোনও খিচুড়ি সরকার নয়, মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার দরকার ৷ কোনও তিনদল সরকার গঠন করবে, আর তা চলবে না, এটা হতে পারে না ৷ তাঁরা মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার দেবেন বলে দাবি করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷
সরকার গঠনের পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের চিঠি পাঠাবেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি ৷ সেই চিঠি পাওয়ার পর বিধানসভায় তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন বলে মন্তব্য করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ৷
Be the first to comment