প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ‘মিতালি এক্সপ্রেস’-এর উদ্বোধন হল। আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই ট্রেন উদ্বোধন করেন। তবে এখনই চালু হচ্ছে না এই ট্রেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখনই যাত্রা শুরু করবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি বড় পদক্ষেপ।’
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছরের অক্টোবরেই ঢাকা-শিলিগুড়ি রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। গত ডিসেম্বরে ৫৫ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ির মধ্যে রেল সংযোগ ফের চালু হয়। এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চালু করার কথা বলা হয়।
তবে সেই ট্রেন এখনও চালু হয়নি। এরই মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন উদ্বোধন করলেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনাই এই ট্রেনের নাম ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ রাখার প্রস্তাব দেন। ভারত সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে এই ট্রেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ ছাড়বে রবিবার ও বুধবার। এনজেপি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও চিলাহাটি স্টেশনে শুক্ল ও অভিবাসন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা থাকবে। উত্তরবঙ্গের মানুষের সুবিধার্থে চিলাহাটি স্টেশন থেকে এই ট্রেনের সঙ্গে আরও দু’টি বা তার বেশি কামরা যুক্ত করা হবে। এই কারণেই নীলফামারির চিলাহাটি স্টেশনে শুল্ক ও অভিবাসনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে এনজেপি পর্যন্ত ৫৯৫ কিলোমিটার যাত্রার জন্য চেয়ার কারের ভাড়া হবে বাংলাদেশের মুদ্রায় ২,৭০৫ টাকা। সিটের ভাড়া হবে বাংলাদেশের মুদ্রায় ৩,৮০৫ টাকা এবং বার্থের ভাড়া হবে ৪,৯০৫ টাকা। সব কামরাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ১০ কামরাবিশিষ্ট ট্রেনে মোট ৮৬৪ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা থাকবে।
Be the first to comment