রেলকর্মীদের তৎপরতায় এড়ানো গেল বড়সড় দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকুরিয়া স্টেশনের কাছে রেললাইনে কয়েকটি পেন্ডাল ক্লিপ খোলা ছিল ৷ রেল লাইন যেগুলি দিয়ে জোড়া থাকে সেগুলি হল পেন্টাল ক্লিপ ৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, চেষ্টা হয়েছিল বড় ধরনের নাশকতার। রেল পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত লালবাজার। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের কোনও হাত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ঢাকুরিয়া স্টেশনের কাছে আপ ও ডাউন দু’টি লাইনেই পেন্ডাল ক্লিপ খোলা ছিল। রেলকর্মীরাই প্রথম দেখতে পান ৷ তৎপরতার সঙ্গে লাইনে লাল পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। খবর দেওয়া হয় ঢাকুরিয়া স্টেশন মাস্টারকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় রেলের ইঞ্জিনিয়ার এবং গ্যাংম্যানরা। লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেল পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনার পিছনে লুকিয়ে আছে বড়োসড়ো নাশকতার ছক। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ GRP থানার পুলিশকে তদন্তে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে লালবাজার।
Be the first to comment