মদ কেনা নিয়ে বচসার জের। আর সেই বচসার জেরেই রবিবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড খাস কলকাতায়। এদিন ঢাকুরিয়ার একটি মদের দোকানে মদ কেনা নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দোকানেরই এক কর্মী। তারপরই সেই ক্রেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে দোকানেরই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে প্রদীপ দত্ত ওরফে টিঙ্কু এবং প্রসেনজিৎ বৈদ্য নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিঙ্কুর বিরুদ্ধেই মারধরের মূল অভিযোগ উঠেছে। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানান, “এটা সাংঘাতিক ঘটনা। পঞ্চাননতলার বস্তিবাসীর মধ্যে এ নিয়ে খুবই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এলাকার লোকজন বলছেন, ছেলেটি খুবই ভাল। সে এসেছিল। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে এলাকারই এক মদের দোকানে মদ কিনতে গিয়েছিলেন সুশান্ত মণ্ডল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। ঢাকুরিয়া ব্রিজের কাছের বস্তিতেই থাকতেন তিনি। কিন্তু এদিন দুপুরে মদ কেনার সময় দোকানদারের সঙ্গে কোনও এক কারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় সুশান্তর। সেই ঝামেলার মাঝেই দোকানদার সুশান্তকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। দেওয়ালে বারবার মাথা ঠুকে দেওয়া হয়, চলে কিল-চড়-ঘুষিও। কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান সুশান্ত। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। চিকিৎসকরা সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে এদিন ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ঢাকুরিয়া ব্রিজের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সুশান্ত মণ্ডল পেশায় গাড়ি চালক। ১২/ডি পঞ্চানন তলা রোডের বাসিন্দা। এদিকে ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সুশান্তর মৃত্যুর পরে খবর পেয়ে মদের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
Be the first to comment