বুধবার রাজভবনে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও রাজ্য পুলিশের DG বীরেন্দ্র ৷ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯- এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে সম্প্রতি বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলছে। আর সেই বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যসচিব ও DG-এর। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল ৷ সেখানে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সংবিধান মেনে চলা উচিত। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করার শপথ গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আর এই আইন (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) সংবিধানের অন্তর্গত।
রাজ্যপাল আরও বলেন, ভারতীয় নাগরিকদের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। মালদা ও মু্র্শিদাবাদের পরিস্থিতিতে আমি ব্যথিত ৷ ওই জেলাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল ৷ তিনি জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয় ৷ এই আইন ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না ৷ কিছু ভুল তথ্য, ভুল খবর মানুষের মধ্যে ছড়ানো হচ্ছে বলে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি ৷ রাজ্যপাল বলেন, এই বিষয়ে যাতে কোনও ভুল তথ্য না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সংবাদমাধ্যমের সতর্ক থাকা উচিত ৷ কয়েকজনকে ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে ৷ যারা প্রতিদিন বিক্ষোভ করে চলেছেন, তাঁদের উচিত এই আইন সম্পর্ক ভালো করে জানা ৷
পাশাপাশি বুধবার মুর্শিদাবাদে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপর যে হামলা হয়, সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যপাল ৷ বলেন, যে কোনও জায়গায় যে কোনও ধরণের হিংস্রতা নিন্দনীয়। বিজয়বর্গীয়র মতো মানুষের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা তো আরও বেশি নিন্দাজনক ৷ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি অনেক উন্নত ৷ মানুষের ভ্রাতৃত্ববোধ দেখানো উচিত বলে মনে করেন ধনকড় ৷
আজ মুখ্যসচিব ও DG-এর সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল ৷ তিনি বলেন, ৭৫ মিনিটের এই বৈঠকে আমাকে রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁরা ৷ আমিও আমার মতামত জানিয়েছি ৷ দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করা উচিত, যারা রাজ্যের সম্পত্তি, রেলের সম্পত্তি নষ্ট করছে ৷ সাধারণের মনে ভয় ছড়াচ্ছে ৷ তবে রাজ্যের সংবাদমাধ্যম যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ৷
Be the first to comment