পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যপাল, এলেন না পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা

Spread the love

ধামাখালির ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শনিবার বারাসতে কালীপুজোর উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁর সঙ্গে দেখা গেল না পুলিশ-প্রশাসনের কোনও বড় কর্তাকে। রাজ্যপালের কালীপুজো উদ্বোধনে আসা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছিল কয়েকদিন ধরে। শুক্রবার এই পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান বারাসতের পৌরপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুনীল মুখোপাধ্যায় ৷

এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সজনেখালির ধামাখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ সেখানে রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে যাননি প্রশাসনের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি ৷ শনিবার বারাসতে কালীপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন রাজ্যপাল ৷ তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কিন্তু প্রোটোকল মেনে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের বড় কর্তাদের দেখা যায়নি সেখানে যেতে।

বারাসত থানার IC দীপঙ্কর ভট্টাচার্যই সামলেছেন নিরাপত্তা। সকাল ১০ টা নাগাদ প্রথমে বারাসত তরুচ্ছায়া ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে আসেন রাজ্যপাল। সেখানে মঞ্চে রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন না কোনও জনপ্রতিনিধি। শুধু বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যপালের সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, আমি আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য ছিলাম তিন বছর। প্যারিসে থাকার সময় মনে হয়েছিল,প্যারিসই সংস্কৃতিতে সবচেয়ে এগিয়ে। তিনমাস হল আমি বাংলায় এসেছি। এখানে আসার পর মনে হয়েছে, সংস্কৃতিতে বাংলা প্যারিসের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলার সংস্কৃতিই সেরা। বারাসতের কালীপুজো সম্পর্কে রাজ্যপাল বলেন, দীপাবলি উৎসব নিয়ে যে এতটা উদ্দীপনা এখানে, না এলে আমি বুঝতে পারতাম না। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে রাজ্যপালকে দেখা গেল এলাকার অনেক বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের উদ্দেশে বারবার হাত নাড়তে। এছাড়া নিজের গলা থেকে খুলে উত্তরীয় পরিয়ে দেন শিশুর গলায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*