বাম ছাত্র রাজনীতি থেকে শিক্ষাঙ্গনকে মুক্ত রাখার ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর দাবি, বাম রাজনীতি যাঁরা করেন তাঁরা বিশৃঙ্খলা ছাড়া তেমন আর কিছুই করতে পারছেন না এখন ৷ বামেরা ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। উল্লেখ্য, কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পর রাজভবনের দায়িত্ব নেন জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই প্রথমে বাম পরে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন সঙ্ঘ ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত জগদীপ ধনকড়। এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে দেখা করে দ্রুত খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি ৷
একদিকে যেমন কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তেমনই বাম ছাত্র রাজনীতি নিয়েও নিজের মত প্রকাশ করলেন ৷ স্বভাবতই বাম এবং তৃণমূল উভয় শিবিরের দিক থেকেই উড়ে এল আক্রমণ ৷ মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে ধনকড় বলেন, বাম আন্দোলনের ফলে ক্রমেই শিক্ষাঙ্গনে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ৷ যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ হচ্ছে ৷ রাজ্যপালের আক্রমণের অন্যতম নিশানা যে যাদবপুরের সেদিনের ঘটনা তাতে সন্দেহ নেই ৷ ধনকড় বলেন, উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতেই পারেন ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের জন্য এগুলি তাঁদের অবশ্য কর্তব্য বলেও আজ মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই ৷ যেখানে অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কার্যত কোনও লড়াই দিতে পারেনি ৷ এক বাঙালি যুবতি ঐশি ঘোষকে সামনে রেখে বিপুল জয় পেয়েছে তারা ৷ আর ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই বাম ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷
ধনকড়ের এই মন্তব্যের পরই স্বাভাবিকভাবে প্রতিক্রিয়া এসেছে বামেদের তরফে ৷ রবীন দেব জানান, সাংবিধানিক পদে থেকে এমন মন্তব্য কেউ করতে পারেন না ৷ তাঁর কথায়, বাম ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই রাজ্যপালের ৷ তিনি গেরুয়া শিবিরের কেউ আহত হলে বা সমস্যায় পড়লে দেখতে যান ৷ কিন্তু ছাত্ররা মার খেলে, আক্রান্ত হলে সেদিকে ফিরেও তাকান না ৷ রাজ্যপালের এহেন বৈপরিত্য কোনওভাবেই কাম্য নয় ৷
Be the first to comment