‘কার্নিভালে ডেকে আমায় অপমান করা হয়েছে’, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাজ্যপাল

Spread the love

রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সংঘাত এবার চরমে পৌঁছলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আচরণে তিনি ‘অপমানিত’, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রেড রোডে পুজো কার্নিভাল ঘিরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, আমায় ডেকে অপমান করা হয়েছে। ৪ ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, কিছু দেখানো হয়নি। তাঁকে ‘সেন্সর’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।

সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, আমায় ডেকে পুজো কার্নিভালের দিন অপমান করা হয়েছে। ৪ ঘণ্টা ধরে বসেছিলাম, কিছু দেখানো হয়নি। এই অপমান শুধু আমায় করা হয়নি। বাংলার মানুষকে অপমান করা হয়েছে, বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করা হয়েছে। আমি খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তবে আমি আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে যাব। রাজ্যের প্রথম নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর সঙ্গে এই ব্যবহার করা হল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।

তবে এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড় বলেন, সংবাদমাধ্যম এটা দেখেও চুপ করে থাকল এটাই সব থেকে বিষ্ময়ের। এটা ভাবতেই পারছি না। রাজভবনের অভিযোগ, কার্নিভালের লাইভ স্ট্রিমিং যখন টিভিতে দেখানো হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মঞ্চের দিকেই ফোকাস করা হয়েছিল। রাজ্যপালকে দেখানোও হয়নি। এর নেপথ্যে কারসাজি রয়েছে বলে রাজভবনের অনেকের মত। রাজ্যপালের কথায়, আশা করি সংবাদমাধ্যম ভয় পেয়ে এটা করেনি বা তাদের উপর জোর খাটানো হয়নি। তবে সত্যিই যদি তেমন কিছু হয়ে থাকে তা হলে সাধারণ মানুষের অবস্থাটা এ রাজ্যে কী তা বোধগম্য।

উল্লেখ্য, রেড রোডে শারদ কার্নিভালের দিন রাজ্যপালের বসার জন্য আলাদা মঞ্চ গড়া হয়েছিল। সেখানেই বসেছিলেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ‘হেনস্থা’র ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি শাসক শিবির। যাদবপুর ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে আটক বাবুলকে উদ্ধারে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা হয়। এরপর সম্প্রতি জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরব হন রাজ্যপাল। এ ঘটনাতেও রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করতে মাঠে নামেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা।

রাজ্যপালের এই অভিযোগ শুনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেন, “ছিঃ ছিঃ ছিঃ! রাজ্যপাল যদি এ কথা বলে থাকেন তা হলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ওনাকে আলাদা সম্মান দিতেই পৃথক মঞ্চ গড়ে তাঁকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। আমি জানি না উনি কী চাইছেন! কেন এরকম বলছেন!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*