”হিংসা এখন পশ্চিমবঙ্গের পরিচিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে”; বিশ্বভারতী ইস্যুতে মন্তব্য রাজ্যপালের

Spread the love

রাজ্য সরকার জানালে তবেই পড়ুয়াদের উপর আক্রমণের কথা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে একথাই বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মারধর করা হলো, এই কথার উত্তরে রাজ্যপাল বলেন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কেন, রাজ্যের কোথাও যদি হিংসা ছড়ায় তা লজ্জাজনক। পড়ুয়াদের উপর হামলার বিষয়ে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় বারবার তাঁর সক্রিয় ভূমিকা সামনে এসেছে। এবার ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে দুষলেন ধনকড় ৷

১৫ ডিসেম্বর রাতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় বামপন্থী সংগঠনের পড়ুয়াদের। জখম হন দুজন ছাত্র। তাঁদের বিশ্বভারতী পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেখানেও হামলা চলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অভিযোগ উঠেছে ABVP-র বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। অচিন্ত্য বাগদি এবং সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পড়ুয়া হামলার প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাজ্য সরকারের ভূমিকার দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, কোনও ঘটনা ঘটলে আমায় তা জানানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যখন ওই তথ্য আমার কাছে চলে আসবে লক্ষ্মণরেখা মেনে আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।

পড়ুয়াদের যে মারধর করা হলো সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম কোনও হিংসার সঙ্গে যুক্ত হোক তা ভাল নয়। পশ্চিমবঙ্গ দেশ এবং পৃথিবীকে অহিংসার প্রয়োজনীয়তা শেখাতে পারে। আমাদের মহাপুরুষরা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু তা আমরা মেনে চলছি না। হিংসা কোথাও হওয়া উচিত নয়। আপনার কথার সাথে আমি সহমত পোষণ না করার মানে এটা নয় যে আমি আপনার বিরোধী হয়ে গেছি। সব মতকে সম্মান করা উচিত। যে কোনও প্রকার হিংসাই আমাকে ব্যথা দেয়। প্রথম দিন থেকে সেই হিংসা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।

জগদীপ ধনকড় আরও বলেন, হিংসা পশ্চিমবঙ্গের পরিচিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই বদনাম দূর করার চেষ্টা করব।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*