কেন্দ্রের পাঠানো মুগডাল এসে গেছে, গরিবদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন: রাজ্যপাল

Spread the love

কিছুদিন আগেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের পাঠানো ডাল রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছয়নি। বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় চাল-ডালের পরিমাণ উল্লেখ করে জানালেন, তা পৌঁছে গিয়েছে। চাল পাঠিয়েছে এফসিআই আর ডাল পাঠিয়েছে নাফেড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, এবার সরকারি গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই খাদ্যসামগ্রী যাতে গরিব মানুষের হাতে পৌঁছয় তা নিশ্চিত করুন।

এদিন রাজ্যপাল জানিয়েছেন, মে মাসের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ২৭৭ মেট্রিক টন চাল এবং ১৪ হাজার ৫২৯ মেট্রিক টন মুগডাল এসে গেছে। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান আরও লেখেন, জুন মাসে কী ধরনের ডাল রাজ্যের চাই তা এখনই ন্যাফেডকে জানিয়ে দিতে হবে। সেই মতো তারা জুন মাসের সামগ্রী পাঠাবে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1260420176144666628
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1260421052548763648

বস্তুত রেশন নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছে বাংলায়। রাজ্যপাল একসময় টুইট করে লেখেন, রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থায় বড়সড় দুর্নীতি হচ্ছে। তা যদি আটকানো না যায় তাহলে অতীতের সমস্ত দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে।

শুধু তাই নয়। প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ অন্ন যোজনার চাল নিয়েও রাজভবন-নবান্ন সংঘাত হয়েছে। তারপর রাজ্যপাল জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে এফসিআই গুদাম থেকে কেন্দ্রের চাল তোলার ব্যাপারে রাজি করিয়েছেন।

রেশন ব্যবস্থা নিয়ে যে গোলমাল হয়েছে তা মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকারও। খাদ্যসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মনোজ আগরওয়ালকে। সেই সঙ্গে কয়েকশো রেশন ডিলারকে শোকজ করে খাদ্য ভবন। বেশ কিছু রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড ও জরিমানাও করা হয়। সেই তথ্য সাংবাদিক বৈঠকেই দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। তা ছাড়া সম্প্রতি দলের জেলা সভাপতিদের দিদি বলেছেন, রেশন দেওয়া দলের কাজ নয়। ত্রাণ দিতে হলে নিজেরা খরচ করে দিন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*