বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপরেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের কড়া বার্তা, বিজেপি সাংসদকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি যেন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘বারাকপুরের সাংসদের অভিযোগ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলছি। করোনা মোকাবিলায় যেখানে সবাই ব্যস্ত, এ রকম পরিস্থিতি জটিলতা বাড়াবে।’ এই টুইটের সঙ্গে মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিটিও যুক্ত করেছেন তিনি।
মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘অর্জুন সিংয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে কাল রাত পৌনে এগারোটায় রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এরপর মেলে উত্তর পাই। পরিস্থিতি যথেষ্ঠ উদ্বেগজনক হওয়ায় রাত ১১টা ২১ মিনিটে রাজ্যপালের অতিরিক্ত প্রধান সচিব (এসিএস) রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এসিএসকে বিষয়টি জানান। এর পর আমি ডিজি-র সঙ্গে ফোনেও কথা বলি।’
এদিন মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যসরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিছু বিষয় আছে যেগুলো প্রশাসনের উচ্চতম স্তরে বিবেচনা করা দরকার। অর্জুনবাবুর কাছে দুটি নোটিশ দাখিল করতে অত রাতে যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে কিছু সাদা পোষাকের পুলিশ এসছিল। কিন্তু তারা সশস্ত্র ছিল। ফৌজদারি আইনের ১৬০ ধারায় যে নোটিশ দিতে এসেিল পুলিশ, তার ভিত্তি তিন মাসেরও বেশি পুরনো। এর একটি ছিল নীতু সিংয়ের নামে। কিন্তু নোটিশ দিতে যারা গিয়েছিল, তাদের মধ্যে মহিলা পুলিশ ছিল না।’ এই সমগ্র বিষয়টি মুখ্য সচিবকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাণহানির বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। রাজ্যপালকে এই অভিযোগ জানান সাংসদ। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে উনি সাদা পোশাকে পুলিশকে পাঠিয়ে আমায় এনকাউন্টার করতে চেয়েছেন। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর পরিবারকেও নিশানা করছে মমতা সরকার।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘দুটি হত্যা হয়েছে কাঁকিনাড়ায়… কেউ নোটিস এখানে এসে কেন লিখবেন? তা তো পাঠাতেই পারেন!’ সেই সূত্র ধরেই তাঁর দাবি, সংঘর্ষের আবহ তৈরির চেষ্টা করছে রাজ্যসরকার। তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ব্যক্তিদের সঠিক সময়ে সঠিক উত্তর মিলবে আইনের তরফে। এদিন এই সমগ্র বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সহকারে খতিয়ে দেখতেই নবান্নে চিঠির পাঠানোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করে সতর্ক করে দেন রাজ্যপাল।
Be the first to comment