শনিবার সকালে মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ফের টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া কোরোনা বুলেটিন বিশ্বাসযোগ্য নয় ৷ সরকারের তরফে কেন সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন রাজ্যে কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি টুইট করেন ৷ তিনি লেখেন, “পুরো স্বচ্ছ ৷ তাঁদের জন্য, যাঁরা সংখ্যা, গ্রাফ-সহ বাংলার কোরোনা আপডেট সম্পর্কে জানতে চান ৷ তাঁদের জন্য দৈনিক বুলেটিনের লিঙ্ক দেওয়া হল ৷”
আর ডেরেকের এই টুইটের পরই ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল ৷ তিনি তাঁর টুইটের রিটুইট করে লেখেন, প্রিয় ডেরেক ও’ব্রায়েন, দুই সপ্তাহের উপর হয়ে গেল কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট কতটা বাকি রয়েছে তার সংখ্যা জানার জন্য আমি হাজারবারেরও বেশি আবেদন করে চলেছি ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনার সোশাল মিডিয়ার মুখপাত্র যে স্বচ্ছের কথা বলেছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় ৷ কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না !
আজ সকালে তিনি আরও কয়েকটি টুইট করেন ৷ তিনি টুইটারে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর টুইট নিয়েও মন্তব্য করেন ৷ গতকাল মহুয়া মৈত্র কলকাতা পুলিশের একটি টুইটকে রিটুইট করে লেখেন, বিজেপির হয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ৷ যে সরকার মসৃনভাবে কোরোনা, আমফান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে কাজ করে চলেছে ৷ একটি নষ্ট আপেল গাছ থেকে বেশি দূরে গিয়ে পড়তে পারে না।
রাজ্যপাল মহুয়ার টুইটকে নিজে রিটুইট করেন ৷ লেখেন, “মহুয়া মৈত্র তাঁর নিজের সরকারের বিরুদ্ধে যে ধারালো তীরগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুঁড়েছিলেন, সেগুলি ঘাতক ছিল। যা আমাদের পঞ্চায়েতের চুরি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে কাটমানি’র কথা আবার মনে করিয়েছে। যা সর্বত্র বিরাজমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷”
তিনি আরও লেখেন, পঞ্চায়েতের দুর্নীতি সামনে এনে নিজে এখন বেকায়দায় পড়েছেন। আপাদমস্তক চুরি দুর্নীতিতে ডুবে থাকা পঞ্চায়েতের চুরি সকলের নজরে এনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগ্রহ পেতে চাইছেন। রাজ্যপালকে আক্রমণ কি সেজন্য? তবে এমন অসহায় অবস্থায় আপনি একা নন, আপনার মতো যোগ্য নেতা-নেত্রীদের বন্দিদশা দেখে অবাক হই ৷
Be the first to comment