মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার ঘটনা নিয়ে ফের টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফের মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়াকে অকল্পনীয় ভয়াবহ দৃশ্য বলে বর্ণনা করেছেন তিনি ৷ এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও টুইটে লেখেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, গড়িয়া শ্মশানে মৃতদেহ গাড়িতে তোলার ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷ বিষয়টি বর্বরতার সমান বলে টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, মৃতদেহগুলিকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়ার অকল্পনীয় ভয়াবহ দৃশ্য আমাদের হতাশ করেছে ৷ এমন বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক ৷ জনসাধারণের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত ৷
যদিও ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন অনেকেই ৷ সেই নিয়েও টুইট করেন তিনি ৷ রাজ্য সরকারকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি লেখেন, ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে বর্ণনা করাটা অমার্জনীয় ভুল ৷ যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলছেন তাঁরা জানেন না সাধারণ মানুষের ক্রোধ কোথায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে ৷ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে একবার ভাবুন ওই ১৪টি দেহের মধ্যে একজন যদি আপনার পরিবারের কেউ হতো?
কীভাবে কোরোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছে, মৃতদেহগুলির সৎকারের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে গতকাল এক শুনানিতে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোরোনা মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারা জানিয়েছিল, আবর্জনার স্তূপে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কোরোনা রোগীদের সঙ্গে পশুর থেকেও খারাপভাবে আচরণ করা হচ্ছে। হাসপাতালে মৃতদেহগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। এমনকী মৃতদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হচ্ছে না। প্রিয়জনের শেষকৃত্যে শামিল হতে পারছেন না তাঁরা। সামগ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, বেদনাদায়ক।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, প্রশাসন কোরোনায় মৃতদের দেহর প্রতি যথাযথ মর্যাদা বজায় রাখে। প্রশাসন যথেষ্ট স্বচ্ছভাবে কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। যথাযথ তথ্য পরিবেশন থেকে শুরু করে মৃতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আত্মীয় পরিজনদের সুযোগ করে দেওয়া, দেহের যথাযথ সৎকার করা ইত্যাদি সবকিছুই করছে রাজ্য। সদ্য যে মৃতদেহ সরানোর চিত্রটি সামনে এসেছে, তা ভুলভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে। যে ছবি সামনে এসেছে সেটি মূলত দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহগুলি মর্গ থকে সরানো হচ্ছিল। এগুলির সঙ্গে কোরোনার কোনও যোগ নেই। রাজ্যের আধিকারিকদের ও রাজ্যপালকে এ-বিষয়ে জানানো হয়েছে।
Be the first to comment