গড়িয়ায় মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার ঘটনা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কলকাতা পৌরনিগম ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দিকে আঙুল তুলে চিঠিতে তিনি লেখেন, “এখনও ওই পচাগলা মৃতদেহগুলির কোনও তথ্য পেলাম না। মানুষকে শান্ত করতে এবিষয়ে আমাদের দু’জনেরই ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
গড়িয়া শ্মশানে মৃতদেহ গাড়িতে তোলার ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি ৷ বিষয়টি বর্বরতার সমান বলে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। তখন তিনি লেখেন, “মৃতদেহগুলিকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়ার অকল্পনীয় ভয়াবহ দৃশ্য আমাদের হতাশ করেছে ৷ এমন বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক ৷ জনসাধারণের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত ৷”
যদিও ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন অনেকেই ৷ সেই নিয়েও টুইট করেন তিনি ৷ রাজ্য সরকারকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি লেখেন, “ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলে বর্ণনা করাটা অমার্জনীয় ভুল ৷ যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ভিডিয়োটিকে ভুয়ো বলছেন তাঁরা জানেন না সাধারণ মানুষের ক্রোধ কোথায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে ৷ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে একবার ভাবুন ওই ১৪ টি দেহের মধ্যে একজন যদি আপনার পরিবারের কেউ হত?”
আজ ফের এই বিষয়টি উল্লেখ করে টুইট করেন রাজ্যপাল । লেখেন, “মৃতদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বর্বরোচিত ঘটনা সমাজে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে । মানুষের মনে রাগ তৈরি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে । এর নিন্দা চলছে সর্বত্র । এতদিন পেরিয়ে গেলেও তথ্য দিতে না পারায় কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ড ব্যর্থ । ব্যর্থ প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমও । বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না ।
গড়িয়ার ঘটনা নিয়ে আজ আরও একটি টুইট করেন রাজ্যপাল । লেখেন, “মানুষ এখন জিজ্ঞাসা করছে, যদি ওই ১৪ জনের মধ্যে কেউ আপনার পরিজন হত? এমন প্রশ্ন শুনে আমি কিছু বলতে পারছি না ।” মুখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া হতে পারে না ।
Be the first to comment