রাজ্যপাল ডেকেছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব এবং DGP-কে। সকাল দশটায় তাঁদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু রাজভবনে জাননি তাঁরা। তার বদলে রাজভবনে গেলেন খোদ মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আড়াই ঘন্টা সোমবার মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল।
বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা না গেলেও রাজভবন সূত্রের খবর ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন দীর্ঘ আলোচনা হয় মুখ্য সচিবের সঙ্গে। গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তরফে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে জেনে নেন রাজ্যপাল।
তবে শুধু ব্যারাকপুরের ঘটনার প্রসঙ্গই নয়, এই দিনের বৈঠকে উঠে আসে রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রসঙ্গ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এই দিনের বৈঠকে।
যদিও পরে রাজ্যপাল ট্যুইট করে বলেন ” রাজনৈতিক খুন বন্ধ হোক। টার্গেট করে খুন বন্ধ হোক। আমার উদ্বেগের কথা জানিয়েছি মুখ্য সচিবকে। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবেন।”
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা তথা বিদায়ী কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। তাঁর উপর হামলার খবর ছড়ানো মাত্রই রাজনৈতিক শিবিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি এই খুনের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করা হয়। অর্জুন সিংয়ের ছত্রছায়ায় তিনি ছিলেন। ঘটনার পরেই টিটাগড় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়। অবরোধ করা হয় বি টি রোড।
খুনকে কেন্দ্র করে এই রাজনৈতিক চাপান-উতরে চুপ থাকেনি রাজভবন। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় এই ঘটনাকে কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেন। টিটাগড় পৌরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লার খুনের ঘটনায় আজ তিনি রাজ্যের DGP এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেছিলেন ৷ ১০ টায় তাঁদের আসতে বলেছিলেন ৷ গতকাল এই নিয়ে টুইটও করেছিলেন। লিখেছিলেন, টিটাগড় পৌরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লাকে পার্টি অফিসের সামনে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। সেজন্য স্বরাষ্ট্রসচিবএবং রাজ্য পুলিশ DG-কে রাজভবনে তলব করা হয়েছে।
কিন্তু রাজভবনে যাননি স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের DG। তার বদলে সকাল এগারোটা নাগাদ রাজভবনে যান মুখ্যসচিব। সেখানে তিনি পুলিশি তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি বিশদে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারিভাবে কোনও তরফেই এই বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Be the first to comment