জৈন হাওয়ালা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দিকে আঙুল তোলায় তা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। ঠিক এমন পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সূত্রের খবর, তাঁর স্বাক্ষর ছাড়াই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়াই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা নিয়ে এ দিন দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপালের স্বাক্ষর ছাড়াই প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের মেয়াদ দু’বছরের জন্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তাঁকে না জানিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কারণে রাজ্যপাল যে চটতে পারেন, সেই আশঙ্কা আগেই করেছিল রাজ্যের শিক্ষা মহল।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হয়েছে দু’জনের। পদাধিকার বলে আচার্য যিনি, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই বা কেন উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিচ্ছে? অসন্তোষ প্রকাশ করে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ শেষে যথারীতি একটি টুইটও করেছেন রাজ্যপাল।
টুইটে তিনি লিখেছেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টার ফলপ্রসু আলোচনা হল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর তিনি আলোকপাত করেন। রাজ্যপাল আরও লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষার উপর আরও নজর দেওয়া দরকার যাতে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার মন্দির হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে এবং সব ধরনের ছাত্রদের নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করে।
Be the first to comment