রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ-কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মানুষের মুখোমুখি সরকারের সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আরও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সরকারের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। বুধবার মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করেছিলেন তিনি। সেই মতোই রাজভবনে যান দু’জনেই। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে।
বৈঠকের পর রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। আইনের শাসন ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। সাংবিধানিক শাসন আবশ্যক।’ এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট ও নারী নির্যাতন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে বুধবারই চিঠি দেন রাজ্যপাল। মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন সংবিধান এবং আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত ব্যবস্থায় আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পথ বন্ধ হলে তা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক হয়ে ওঠে।’
প্রসঙ্গত, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বুধবার আরও একবার উদ্বেগপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি। এ বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল। সেই মতো তারা রাজভবনে পৌঁছেও যান। এদিকে, এদিন সকালে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের কথা জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। সে বিষয়েও আলোচনা হয় এদিন।
Be the first to comment