সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে তিনি কখনও পিছবেন না। মঙ্গলবার নিজের টুইটে সেকথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের। তবে আজকের চিঠিতে কোথাও যেন সহযোগিতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রাজ্যপালের বক্তব্য তিনি বরাবরই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার পর থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত জারি। কখনও CAA, কখনও আমফান দুর্নীতি, কখনও পুলিশের ভূমিকা। বারবার সংবিধানের নানা ধারার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। হয়েছে লম্বা চিঠির আদান-প্রদানও। এর মাঝে গতকাল ICMR-এর ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পরোক্ষভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছিলেন, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার একসঙ্গে কাজ করতে চায়। এই কোরোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী সর্বদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কিন্তু এমন অনেকে আছেন, যাঁরা সহযোগিতা করতেই চান না। সাংবিধানিক পদে থেকেও প্রতিদিন রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠেন।
আজ তা নিয়েই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। মু্খ্যমন্ত্রীর সেই ভিডিয়ো ক্লিপ নিজের টুইট অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কখনও পিছপা হব না। আমি বরাবর সাংবিধানিক দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীই সাংবিধানিক দূরত্ব বজায় রেখেছেন। এর জেরে আমার রাজ্যপাল হিসেবে ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
রাজ্যপাল আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা ঠিক নয়। তাঁর পর্যবেক্ষণও যথাযথ নয়। তাই গতকালের বিষয়গুলির উর্ধ্বে গিয়ে মানুষের উন্নয়নে সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আজ ফের কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল। বলেন এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই নাক গলাচ্ছে পুলিশ। যা গণতন্ত্রের জন্য একেবারেই ভালো না। পুলিশ দ্বারাই সামগ্রিক প্রশাসন চালিত হচ্ছে। সময় এসেছে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার।
বেশ কয়েকমাস ধরে চলা লাগাতার প্রশ্ন, জবাব অভিযোগের পর্বের মধ্যে এবার কোথাও যেন সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল । তাঁর কথায় তিনি প্রস্তুত সমস্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক কাজের জন্য । তবে রাজ্য প্রশাসনই যেন এখনও দূরত্ব বজায় রেখেছে ।
Be the first to comment