এবার টুইট যুদ্ধে জড়াল শাসক দল ও রাজ্যপাল ৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিস্থিতির উন্নতির জন্য রাজ্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চেয়ে ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ ২৬ তারিখ সেই চিঠির জবাব আসে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠি ছবি তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল ৷ রাজ্যপালের সেই টুইটের জবাবে টুইট পোস্টে উত্তর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
গতকালই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ২৬ ডিসেম্বর যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার ছবি দিয়ে টুইট করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠিতে বলেছিলেনু সংশ্লিষ্ট বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে দেখার জন্য জানাবেন ৷ সেই চিঠির ছবি টুইটারে পোস্ট করে রাজ্যপাল লেখেন, তিনি শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন ৷
কিন্তু রাজ্যপালের সেই টুইট মোটেই ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার ৷ রাজ্যপালের জবাবি টুইটে উত্তর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা নয়, টুইট করেই তাঁকে জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী । আজ সকালে পরপর তিনটি টুইট করে শিক্ষামন্ত্রী একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান বাতিল হওয়া, যাদবপুরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
চিঠির বিষয়বস্তুতে লেখা হয়েছে, রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সংক্রান্ত অনুষ্ঠান বাতিল এবং ২০১৯ সালের ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সেই বিষয়ে চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, আমায় মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে পাঠানো আপনার চিঠির প্রেক্ষিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অবগত করতে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত চলা অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয় আপনার নজরে আনা হচ্ছে ৷ এই ধরনের অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা, স্থির করা বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে থাকেন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অটোনমাস বডি এবং রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে হস্তক্ষেপ করে না ৷ চিঠির শেষে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন পার্থবাবু।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন ও তার আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রাজ্যপাল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। সেই বিষয়ে চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার কারণ, পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রস্তাবিত NRC, NPR ও CAA-এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল এবং একই বিষয়ে তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করছিল। রাজ্যের পড়ুয়ারা এই আইনের প্রত্যাহার চায় এবং পশ্চিমবঙ্গে এই সবের প্রয়োগের তীব্র বিরোধিতা করছে। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী, আমরা সবসময় একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত, যদি আপনি জোর-জবরদস্তি না করেন ৷ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের স্বার্থে পারস্পরিক বন্ধুত্বসুলভ ব্যবহারও হতে পারে।
তবে বিষয়টি নিয়ে আর নতুন করে জলঘোলা করতে চান না বলে পার্থবাবুর টুইটের জবাবে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷ পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসার কথাও বলেন ধনকড় ৷
Be the first to comment