রোজদিন ডেস্ক:-
ওয়াই চ্যানেলে একদিকে যখন মানববন্ধন চলছে ঠিক সেই সময়ই কার্নিভাল থেকে বেরিয়ে আসে শ্রীভূমির প্রতিমা। তখন সেই প্রতিমার গাড়ি ঘিরে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলেন প্রতিবাদীরা। একই সঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেন, মানববন্ধনে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য প্রশাসনের তরফে ইচ্ছা করে ওই প্রতিমার গাড়ি তাঁদের কর্মসূচির রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওয়াই চ্যানেল চত্বরে।
পুজোর কার্নিভালের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের দ্রোহের কার্নিভাল হওয়া আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টে নানা যুক্তি দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সব আর্জি খারিজ হয়ে যায় আদালতে। ডাক্তারদের কর্মসূচির অনুমতি দেয় আদালত। তবে রানি রাসমণি রোড এবং রেড রোডের মাঝে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যাতে দুই কার্নিভাল নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু তেমন ঘটনাই ঘটল। কার্নিভালে প্রতিমা প্রদর্শন শেষে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে ফিরছিল লরি। পিছনেই ছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা ক্লাবকর্তা সুজিত বসুর গাড়ি। ধর্মতলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই সময়ে চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মানববন্ধন। সুজিতকে গাড়িতে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেয় মানবন্ধনে দাঁড়ানো জনতা। একসঙ্গে কয়েকশো লোককে ধেয়ে যেতে দেখা যায় গাড়ির দিকে। সুজিতের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে বোতলও ছোড়া হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা মোড়ে। তবে সুজিতের গাড়ি থামেনি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে গাড়ি নিয়ে সোজা এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। চলন্ত গাড়িরই পিছনের অংশে চড়-থাপ্পড় মারেন কেউ কেউ।
এই ঘটনা নিয়ে সুজিত বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু এটা কী ধরনের অসভ্যতা! গাড়িতে আক্রমণ করবে?’’ সুজিত আরও বলেন, ‘‘ওদের থেকে আমাদের পুজোর লোক অনেক বেশি ছিল। ওখানে যদি পাল্টা হত, তা হলে কি ভাল হত! আমি চাইনি পুজোর মধ্যে ঘটনাটা বাড়তে দিতে।’’ সুজিত চলে যাওয়ার খানিক ক্ষণ পরে সেখানে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে সমবেত জনতার মধ্যে থেকে।
যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, মানববন্ধন হচ্ছে দেখেও মানুষের প্রায় ঘাড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল সুজিতের গাড়ি। হালতুর বাসিন্দা নবনীতা দাস যোগ দিতে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা মানববন্ধনে যোগ দিতে। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলে কি মানুষকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দেবেন! ওঁর গাড়ি যে ভাবে গিয়েছে তাতে এক সুতোর এ দিক-ও দিক হলেই আমার পা পিষে যেত।’’
Be the first to comment