চিরন্তন ব্যানার্জি:-
এযেনো ১৪ আগষ্ট মহিলাদের রাত দখলের পুনরাবৃত্তি পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্য রাত। ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ১২টার ঘর পেরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিনের মতো কার্যত শুনশান ধর্মতলার আশেপাশের চিত্র। কিন্তু যত রাত বাড়ছে ধর্মতলার চিত্র পাল্টাচ্ছে। ‘আমরা তিলোত্তমা’র মঞ্চে লোক সংখ্যা বাড়ছে।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এদিন কলকাতা শহরে মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল ‘আমরা তিলোত্তমা’ মঞ্চের প্রতিবাদীরা।
মিছিল শেষে বিকেল থেকে শুরু হওয়া ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অবস্থান চলছে মধ্যরাতেও। গানে-স্লোগানে-পথনাটিকায় রাত যত বাড়ছে ভিড় যেন ততই বাড়ছে ধর্না মঞ্চে। সস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তীর মতো একঝাঁক সেলিব্রিটির পাশাপাশি হাজির রয়েছে অসংখ্য মানুষ। মহিলাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সেই মঞ্চ থেকেই ‘আমরা তিলোত্তমা’ মঞ্চের প্রতিবাদীরা জানিয়ে দিলেন, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেবলীনা সরকারের কথায়, “আমাদের যেন আবার বোকা বানানো হয়। বিচারের আসা যেন ভেঙে না যায়, সেটা দেখুক প্রশাসন।”
সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তীরা বললেন, “এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মঞ্চ। দাবি একটাই, ধর্ষকদের কঠোরতম সাজার ব্যবস্থা করা।” স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বললেন, “এই সরকারকে তো আমরাই এনেছি। আরজি করের চার তো আমরা এই সরকারের কাছেই চাইব।”
প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে ১১দফা দাবি জানিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শিশু কল্যাণ-সহ চারটি বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। মিছিল শেষে আন্দোলনকারীরা এও জানিয়েছিলেন, সরকারিভাবে কোনও কর্তাব্যক্তি এসে কথা না বললে, ধর্না-অবস্থান থেকে উঠবেন না ‘তিলোত্তমা’রা। ভোর চারটে পর্যন্ত ধর্মতলাতেই বসে থাকবেন তাঁরা।
তবে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও কর্তা ধর্নামঞ্চে আসেননি।
Be the first to comment