বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকরাই সমাজের স্তম্ভ। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি করছে তা শিক্ষার মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুৎসাহিত করবে।
প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি যেদিন গ্রেফতার করে কাকতালীয় ভাবে সেদিনই কলকাতায় ছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। স্কুল সার্ভিসের আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি। তার জানিয়েছিলেন এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন। সেটাই করেছেন ধর্মেন্দ্র।
তবে কেন্দ্রের এই চিঠির মধ্যে স্রেফ রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন দিল্লিতে রয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের অন্য মন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাত করছেন শুভেন্দু। আর তার মধ্যেই এই চিঠি শুধু নবান্নে এসে পৌঁছয়নি তা সংবাদমাধ্যমের কাছেও পৌঁছেছে।
তৃণমূলের বক্তব্য, এটা রাজনীতি ছাড়া আর কী! দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রাজনীতির মধ্যে না ঢুকলেই পারতেন। যে অনিয়ম হয়েছে তা ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের মন্ত্রী চিঠিতে কিছু জ্ঞানের কথা ছাড়া আর কিছুই লেখেননি।
Be the first to comment