ডায়মন্ডহারবার যাওয়া পথে নাড্ডার কনভয়ে হামলা, চললো ইটবৃষ্টি

তীব্র নিন্দা রাজ্যপালের

Spread the love

বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার গাড়িতে হামলা। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় কনভয়ের একাধিক গাড়ির কাচ ভেঙেছে। কনভয় টার্গেট করে রাস্তার দু’ধার দিয়ে ইট বৃষ্টি করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইটারে লেখেন, শাসক দলের হার্মাদরা বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতির কনভয়ে এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সবকিছু দেখে, জেনেও নিশ্চুপ ছিল।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1336945317229391873

এদিকে ইটের আঘাতে কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের গাড়ির কাচ সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে মুকুল রায়ের গাড়ির কাচও। হঠাৎ এহেন হামলায় মাথা ফেটেছে এক বিজেপি কর্মীর। কোনওরকমে বেঁচে যান জে পি নাড্ডা। তাঁর গাড়ি যেহেতু বুলেটপ্রুফ কোনও রকমে বেঁচে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

প্রসঙ্গত, বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে সভা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। আর সেখানে পৌঁছতে রীতিমত ধন্ধুমার কাণ্ড। একের পর এক জায়গায় নাড্ডার গাড়ি টার্গেট করে হামলা। যার ফলে আটকে যায় নাড্ডার কনভয়। আর তা আটকাতেই রাস্তার দুপাশ থেকে ছুটে আসে ইটবৃষ্টি।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল ছিল। নাড্ডার যাত্রাপথে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি সওকত মোল্লা। এছাড়া, কুলপির হটুগঞ্জে কৃষি আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের অবরোধ। শিরাকোলে  অবরোধ করে তৃণমূল। যার ফলে আটকে যায় কনভয়। সেখানেও লাগাতার ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার হতে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীদের।

এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত হামলা। তবে এভাবে ইটবৃষ্টি না হওয়াই ভালো ছিল। তবে নাড্ডা তো প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি নন, যে গোটা রাস্তায় পুলিশ দেওয়া হবে। তবে উনি অভিষেকের কেন্দ্রে না গেলেই ভালো করতেন।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় কৈলাশ বিজয়রবর্গীয় বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। যেভাবে এদিন হামলা হল তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবারকে তৃণমূল শেষ কেল্লা বলে মনে করছে। এমন ভাব করছে যেন, বিজেপি ঢুকলে সরকার পড়ে যাবে। তাই সর্বশক্তি দিয়ে দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের একত্রিত করছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছে। এরাজ্যে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।

এদিন হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন অনুপম হাজরা?

শুনুন!

https://www.facebook.com/100034520296851/videos/446190806541592/

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*