সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে নয়া মোড়। মৃতা চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরীর মা ও ভাইকে জেরা করছে পুলিস। জেরায় মিলছে একাধিক অসঙ্গতি। জেরা করা হচ্ছে চান্দ্রেয়ীর মামাকেও।
জানা গিয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর পর দিঘায় যান মা ও ভাই। কী কারণে তারা দিঘায় গিয়েছিলেন, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিসর ময়নাতদন্তের পরই খুনের মামলা দায়ের করে পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে চান্দ্রেয়ীকে। তবে, পরিবারের বিবৃতির সঙ্গে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে সাদার্ন অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পেশায় চিকিৎসক ৪৮ বছর বয়সী চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরীকে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে দাবি করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে একে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে করেছিলেন সবাই। কিন্তু রহস্য ঘণীভূত হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতে। ঘটনার প্রায় ২ মাস পর গত ১০ জুলাই পুলিসের হাতে পৌঁছয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুর কারণ। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে মাথায় ভারী কিছুর আঘাত করে অচেতন করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে চান্দ্রেয়ীকে।
এরপরই পুলিসের সন্দেহের খাতায় উঠে আসে চান্দ্রেয়ীর ভাই, মামা ও মায়ের নাম। তবে এই ঘটনায় একাধিক বিষয় ভাবাচ্ছে পুলিসকে। জানা গিয়েছে, যে ঘর থেকে চান্দ্রেয়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। সেক্ষেত্রে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকলে কীভাবে খুন? উত্তর খুঁজছে পুলিস।
Be the first to comment