বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছে সৈকতনগরী দীঘা। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দীঘা তাঁর নিজস্ব ছন্দ হারিয়েছিল। তবে এবার ছবিটা একেবারেই আলাদা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ, বুধবার থেকে দীঘা-পাঁশকুড়া মেমু স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল দফতর। বড়দিনের ঠিক আগে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় এবার দীঘায় পর্যটকদের রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছেন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার তরফে সৈকতের রাস্তাঘাট সহ বসার জায়গা বিশেষ আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাতদিনব্যাপী ইলিশ উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি, ২৯ ডিসেম্বর থেকে তিনদিনব্যাপী বিচ ফেস্টিভ্যাল শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও সোমবার দুটি অনুষ্ঠানই স্থগিত বলে ঘোষণা করেছে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাই বিচ ফেস্টিভ্যাল ও ইলিশ উৎসবকে কেন্দ্র করে হোটেল ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা যাঁরা আশায় বুক বাঁধছিলেন, তাঁরা কার্যত হতাশ।
তবে পর্যটকরা বর্ষশেষে আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। তার জন্য বড়দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষের ওই সময়কালে বিশ্ববাংলা-২ ঘাটের কাছে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মুক্তমঞ্চে বাউল গান সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উন্নয়ন সংস্থা। ইতিমধ্যেই ১৮ডিসেম্বর থেকে দীঘার ক্ষণিকা মার্কেটে শুরু হয়েছে ১১দিন ব্যাপী খাদি, হস্তশিল্প ও তাঁতমেলা। সব মিলিয়ে ওই সময়টা যে দীঘা জমজমাট হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।
বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দীঘার ঢেউসাগর পার্ক, অমরাবতী পার্ক ও কাজলাদিঘি লেক পার্ক নতুনভাবে সেজে উঠেছে। তিনটি পার্কে ওই সময়টা পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করে। কাজলাদিঘি লেক পার্কে টয়ট্রেন ও অমরাবতী পার্কে রোপওয়ে হল উপরি পাওনা। ঢেউসাগর পার্কে দেশি-বিদেশি নানা রকমের বিনোদনের উপকরণও রয়েছে। দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে সম্প্রতি সায়েন্স গ্যালারি চালু হয়েছে। হোটেল-লজগুলিও বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের সময় আলোকমালায় সাজানো হয়।
Digha-chrismas-new-year-festival-local-train-service
Be the first to comment