মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির মহা গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর পুনরায় আস্থা রাখতে চলেছে দল। মঙ্গলবার কলকাতার আইসিসিআরে এই বৈঠকে রাজ্যের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। ৩৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও উপস্থিত থাকবেন। তবে মূল আলোচ্য বিষয়ে উঠে আসতে পারে রাজ্য বিজেপির কার্যকরী সভাপতি বাছাইয়ের বিষয়টি। রাজ্য বিজেপির দুই দিনের চিন্তন বৈঠক কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে শেষ হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরীন সূত্রে যা খবর, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ-ই ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে থাকলেও তাঁকে সাহায্য করার জন্য একজন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করতে চলেছে পার্টি। আইসিসিআরের বৈঠকে সেই নামটি উঠে আসতে পারে। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ সংসদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য পার্টির দেখাশোনার কাজে তাঁকে সাহায্য করযে আসবেন কেউ, তেমনটাই শোনা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি থেকে জাতীয় নির্বাচন আধিকারিক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন রাধামোহন সিং। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপির অন্তর্দলীয় নির্বাচন পদ্ধতি শুরু হওয়ার পথে।
সূত্রের খবর, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপির অন্তর্দলীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বুথ সভাপতি, বুথ কমিটি, মণ্ডল সভাপতি, জেলা সভাপতির নির্বাচন হবে প্রথমে। তারপর, শুরু হবে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ। এবং, এর সঙ্গেই রাজ্য থেকে বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচনও একই ভাবে চলবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
রাজ্য বিজেপির অন্দরেই খবর, শেষ লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন নিয়ে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের জন্য রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ভালো নম্বর দিয়েছে পার্টি। ২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ। পার্টি সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন। কিন্তু দল তাঁকে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করতে বলেছিল অনেক আগেই। পার্টি সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন। কিংবা ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করতে পারেন – সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তার সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরবে পার্টি। দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে থাকবে তা নিশ্চিত।
Be the first to comment