একুশের নির্বাচনে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে নেমে তার অর্ধেকেও পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। উলটে দলের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ির পালা চলছেই। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষের রায়ই মেনে দল চলবে বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আসলে তা না মেনেই বা উপায় কি! তাই তাঁর মতে, জনগণ বিধানসভায় বিরোধী দল হিসাবে পাঠিয়েছেন। তাই মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতা দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। নির্বাচন এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলী প্রসঙ্গ তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাদের সরকারে নয়, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে দেখতে চান। তাই বিধানসভায় এভাবে পাঠিয়েছেন। তাই তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কোথাও কোনও খামতি হবে না। এখন আমাদের সাধারণ স্তরের কর্মীদের অত্যাচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে আস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষ–সহ রাজ্য নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে তিনি নাম না করে বলেন, ‘বাংলায় সরকার গড়তে বিরাট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিলাম আমরা। ২০০ আসনের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছতে পারিনি। সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দলের কর্মীরা আমাদের এই জায়গায় এনেছেন। আমার বিশ্বাস, আগামী দিনে বিজেপিকে বাংলার শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করবেন তাঁরা।’
এদিনের বৈঠতেও দিলীপের মুখেও নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠে আসে। তাঁর অভিযোগ, ভোটগণনা শেষ হওয়া আগে থেকেই হিংসা শুরু হয় রাজ্যে। ১১ হাজার হিংসার ঘটনা নথিবদ্ধ রয়েছে। হিংসার কারণে ৮০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া ছিলেন। এখন ফিরছেন। হিংসা হয়নি বলে তাঁদের সাদা কাগজে লিখিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।
Be the first to comment