বিজেপির জাতীয় কমিটিতে ফের বড়সড় রদবদল। আর সেই বদলেই এবার পদ খোয়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানোর পর দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, সেই পদেও আর নেই তিনি। আপাতত তিনি শুধুই মেদিনীপুরের সাংসদ। দলের তরফে প্রকাশিত তালিকায় বাংলা থেকে শুধু অনুপম হাজরার ঠাঁই হয়েছে।
আজ, শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন তাতে দিলীপের ঘোষের কোনও পদেই নাম নেই। বিজেপি সূত্রে খবর, বার বার তাঁর মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা সত্ত্বেও দিলীপ তাতে কান দেননি। এই কারণেই তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানো হল। বিজেপির অন্য শিবিরের মত, যেহেতু সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই সাংসদ দিলীপকে নিজের এলাকায় সময় দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সর্বভারতীয় দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। আবার একটি মহল মনে করছে, সুকান্ত-শুভেন্দু গোষ্ঠী কলকাঠি নাড়িয়ে পদ খেয়ে নিলেন দিলীপের।
দিলীপকে সর্বভারতীয় দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কি এবার কেন্দ্রের মন্ত্রী করা হবে?কিন্তু সেক্ষেত্রে আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে পরে দলীয় পদ থেকে সরানো হয়। তবে মন্ত্রী ঘোষণা না করে আগেই দিলীপকে সর্বভারতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
দিলীপ ঘোষ অবশ্য অন্য কথা বলছেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি এখনও কোনও চিঠি পাইনি। তবে এটা শুনেছি যে, দলের সাংসদদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেটা লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই। সাংসদরা যাতে নিজের নিজের এলাকায় বেশি করে সময় দিতে পারেন, তাই এই পদক্ষেপ।”
তবে দিলীপের দাবি পুরোপুরি ঠিক নয়। নড্ডার ঘোষিত নতুন সর্বভারতীয় কমিটিতে বেশ কয়েক জন সাংসদ রয়েছেন। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন আরও তিন জন সাংসদ। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত কেন সেই প্রশ্নই উঠছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
Be the first to comment