‘আধার-ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়’, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Spread the love

দ্বিতীয় বার রাজ্য সভাপতি হয়েই আক্রমণের সুর চড়ালেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বার রাজ্য সভাপতি হয়ে শুক্রবার হাওড়ার বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, আধার-ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, সবাইকে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হবে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে তথ্য যদি না দেন, তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী তিন চারমাস সময় দেবেন।

দিলীপ ঘোষ শুক্রবারে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা থেকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যাঁরাই এসেছেন, যে ধর্মেরই হোন না কেন, সকলকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে।’

কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি নিদান দিয়েছিলেন সরকারি সম্পত্তি নষ্টকারীদের কুকুরের মতো গুলি করে খুন করার। সেই ইস্যুতে বিরোধীপক্ষের তীব্র সমালোচনার শিকার হলেও, নিজের অবস্থান থেকে একচুল নড়তে নারাজ দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘কেউ যেন দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে মিষ্টি-মিষ্টি কথা শোনার আশা না করেন। যাঁর সহ্য শক্তি কম, সহ্য শক্তি বাড়িয়ে নিন। আরও কঠিন কথা শুনতে হবে এবার। এখন সেই দিনই আসছে।’

অন্যদিকে শুক্রবার যখন হাওড়ায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। তখন কলকাতায় চলছিল নামীদামী নাট্য ব্যক্তিদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র বসু, পল্লব কীর্তনিয়া, নীল মুখোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, চন্দন সেন প্রমুখ।

তাঁরা একত্র হয়ে এনআরসি এবং সিএএ-র তীব্র সমালোচনা করেন। আর এই প্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাট্যকর্মীদের এই বিক্ষোভ মিছিলকে কটাক্ষ করেন। আগে তিনি বলেছিলেন নাট্যকর্মীরা ‘হাওয়া মোরগ’। শুক্রবার তিনি বলেন, ওই মিছিল মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে। বুদ্ধিজীবীরা আগে সিপিএম পরে তৃণমূল হয়েছে। ডাল পাল্টেছেন। মানুষ সব বোঝে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*