শনিবার বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় যদি তৃণমূল কর্মীরা কোনও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে, তাহলে সবাইকে পিষে দেওয়া হবে বলে শাসক দলকে হুমকি দিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এ দিন বিজেপি’র রাজ্য দফতরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ যদি কেউ কাল বিজেপি কর্মীদের সভায় যাওয়া থেকে আটকানোর চেষ্টা করে, তবে আমি বলেছি ওদেরকে পিষে দিয়ে চলে আসতে। সংঘাত হবে। এটাই হবে সংঘর্ষের সূত্রপাত।” পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “ যদি কাল বিজেপি কর্মীদের কেউ আটকানোর চেষ্টা করে তাহলে লঙ্কাকাণ্ড ঘটবে।” মেয়ো রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারে ছেয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কৈলাস বলেন, “ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতিকে স্বাগত জানিয়েছে, আমরাও সেভাবে দিল্লিতে মমতাকে স্বাগত জানাবো।”
কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই ধরণের হুমকি দিলেন দিলীপ ঘোষ?
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের প্রাথমিক খসড়া তৈরি হওয়ার পর থেকেই লাগাতার বিরোধিতা করে আসছে রাজ্যের শাসক দল। এর মধ্যেই রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালন, কিংবা সংসদে অবস্থান বিক্ষোভ দেখানো, সব কর্মসূচিই নিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। ফের শনিবার এনআরসি ইস্যুতেই রাজ্যজুড়ে ‘ধিক্কার দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাচক্রে একই দিনে ধর্মতলায় রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে কি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা বানচাল করার জন্যই তৃণমূলের এই কর্মসূচি?
বিজেপি কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, যাতে সভায় বেশি লোক আসতে না পারে তার জন্যই একটা গণ্ডগোল পাকানোর উদ্দ্যেশ্য রয়েছে তৃণমূলের। আর সেই সম্ভাবনা যদি আসে তাহলে তাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তারই নিদান এ দিন দিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
অমিত শাহের সভার আগেই মেয়ো রোড সহ গোটা ধর্মতলা চত্বরকেই কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ও হোর্ডিংয়ে। এর আগেও মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আগেও গোটা মেদিনীপুর ছেয়ে দেওয়া হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারে। সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী সে প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন তাতে তিনি অভিভূত।
কিন্তু শনিবারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে ফেলা নিয়ে কী বলেন সে ব্যাপারেই কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
Be the first to comment