রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মল, সিনেমা হল বন্ধ রাখা সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। পরোক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পাশেই দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে পুরো লকডাউন করতে না হয় সেজন্য বিভিন্ন রাজ্যের সরকার নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছে। লকডাউন করলে দেশের অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি হবে। তার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।’ লকডাউন এড়াতে সতর্কবিধি মেনে চলার কথা বলার সময় অবশ্য মুখে মাস্ক ছিল না দিলীপ ঘোষের। সেলফিপ্রার্থীদের সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হওয়ার সময় মাস্ক পরলেও দুপাশে দুজনকে বসিয়ে পার্কের মধ্যেই খাবার খেলেন তিনি।
শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রায়ই প্রাতঃভ্রমণে বেরোন রাজ্য BJP সভাপতি। ‘চায়ে পে চর্চা’-র সঙ্গে রাজনীতির ‘ডেলি ডোজ’, নতুন ঘরানা তৈরি করেছেন দিলীপ, দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। রাত পোহালেই রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। ফলে রাজ্য BJP সভাপতির প্রাতঃভ্রমণকে রাজনীতির অংকের বাইরে রাখতে নারাজ তাঁরা।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সবাইকে অভিনন্দন, নতুন সরকার পেতে চলেছেন।’ রাজ্যে BJP ক্ষমতায় এলে সবার প্রথম লক্ষ্য হবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, আগেই জানিয়েছিলেন দিলীপ। এদিনও রাজ্যের আরোপ করা বিধিনিষেধের সমর্থনই করতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু ‘সচেতন’ দিলীপের পার্কের মতো খোলা যায়গায় মাস্ক খুলে খাবার খেলেন কীভাবে! তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ও মাস্ক ছিল না দিলীপ ঘোষের মুখে।
এদিকে তিনিই কি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী? এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি কী বলব যদি কেউ আমার নামে বলে। অনেকে আমাকে গালাগালি দেয় ভালো-মন্দ বলে। আমি তো নিজে কিছু বলিনি। শুধু আমার কাজ করছি।’ BJP- সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে বিধায়ক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’ এই মন্তব্যের পরই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও এই নিয়ে বিশেষ ভাবছেন না তিনি, শনিবার তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন দিলীপ।
Be the first to comment