‘ফালতু লোক, পাত্তা দিই না’, নাম না করে তথাগতকে নিশানা দিলীপের

কোন্দল সামলাতে বৈঠক বিজেপির

Spread the love

বঙ্গ বিজেপির মুষলপর্বে রোজই নতুন নতুন অধ্যায় যোগ হচ্ছে। এবার রাখঢাক না করেই সরাসরি তথাগত রায়কে আক্রমণ করলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নাম না করলেও তথাগতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলে দিলেন, “ওসব ফালতু লোককে পাত্তা দিই না। যাঁদের কোনও কাজকর্ম নেই তাঁরাই সারাদিন বসে বসে টুইট করে। রাজ্যের কোনও পঞ্চায়েত ভোটে জেতার ক্ষমতাও ওঁর নেই।”

আসলে দুই উপনির্বাচনে গোহারা হারার পর বিদ্রোহীদের তোপ দাগা চলছেই, সেই সঙ্গে বাড়ছে ইস্তফা দেওয়ার প্রবণতাও। গত দু’দিনে রাজ্যের একাধিক জেলার অন্তত ডজনখানেক নেতা পদ ছেড়েছেন। সোমবারও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরাদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। ক্রমাগত তোপ দেগে চলেছেন তথাগত রায়। সোমবারও তিনি বলছেন, “KDSA টিম পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জেতা গেম হারিয়ে দিয়েছে,এবং সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে কামিনী-কাঞ্চন আকণ্ঠ উপভোগ করেছে। আমার জীবনে এরকম রাজনৈতিকভাবে নিজের পায়ে কুড়ুল মারা আমি কখনও দেখিনি বা শুনিনি।” মঙ্গলবারও এই একই সুরে বঙ্গ নেতাদের আক্রমণ শানিয়েছেন তথাগত।

দল যেদিকে এগোচ্ছে, আগামী দিনে কোন্দল এবং ভাঙন দুইই বাড়ার সম্ভাবনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার জেলা সভাপতিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। বিজেপি সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের সব সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের ডাকা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরাও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকেও নেই বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্য সাধারণ সম্পাদকেরা রয়েছেন।  লকেট আসানসোলের কনভেনর হওয়া সত্ত্বেও কেন বৈঠকে নেই, উঠছে প্রশ্ন। 

শোনা যাচ্ছে, সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রাজ্যে গণতন্ত্রের প্রহসন ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। ২-৮ মে জেলায় জেলায় ওই কর্মসূচি পালন করা হবে। যাতে থাকতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। মূলত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ‘হিংসা’কে হাতিয়ার করে ‘গণতন্ত্রের প্রহসন’ নামের এই আন্দোলন কর্মসূচি নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*