ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে ধুন্ধুমার। অভিযোগ, সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় প্রচার নেতাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন যদুবাবু বাজারের কাছে ঘটে ওই ঘটনাটি। দিলীপকে বাঁচাতে গিয়ে এদিন বিজেপি সমর্থক ভাব নারায়ণ সিংয়ের নেতার মাথা ফেটে যায় বলেই খবর। শাসক দলের দিকেই অভিযোগের তির। ইতিমধ্যেই আহত নেতাকে নিয়ে এলাকা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন রাজনীতিক। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ভাব নারায়ণ সিংকে। এদিন দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি কমিশনের দ্বারস্থ হবেন।
এদিন ওই অঞ্চলে ঢোকার পরেই তৃণমূল সমর্থকেরা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মিছিলের সমান্তরালভাবে একটি অটো থেকে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলেই দাবি করছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষ এদিন যদুবাবু বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই বচসা তুঙ্গে পৌঁছয় বলে খবর। জয় বাংলা স্লোগান তোলা হয়। পালটা জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এরপরেই দিলীপ ঘোষের উপর কিছু্জন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়েই নিরাপত্তা রক্ষীরা দিলীপ ঘোষকে ঘিরে এলাকা থেকে বের করার চেষ্টা করেন। তাঁদের উপরও আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে এদিন।
উল্লেখ্য, শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে প্রচার করার সময় অর্জুন সিংকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে এদিন যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালেই দিলীপ বলেছিলেন, ‘বাংলায় হিংসার রাজত্ব চলছে। দলের একাধিক কর্মীকে হত্যা করা হচ্ছে।’ প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, ‘ভয়ের রাজনীতি, হিংসার রাজনীতি আর লোভের রাজনীতি। বাংলায় এটাই তৃণমূলের রেসিপি।’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমার মনে হয় বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এর বিরুধ্যে একটা সংকেত দিয়েছেন। অতএব বুঝে যাওয়া উচিত রাজনীতিতে এই ধরণের সন্ত্রাসের কোনও জায়গা নেই।’
এদিন দিলীপ ঘোষ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘জেলায় জেলায় আমাদের পার্টির লোকেদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে পুলিশ স্টেশনে। ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। এমনকী, বাড়ি বাড়িও পুলিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।’
Be the first to comment