একুশের ফল ঘোষণার পর ফের দলবদল ঘিরে জোর জল্পনা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ঘিরে চর্চা বাড়ছে। আবার, সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, বাচ্চু হাঁসদারা ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির অনেক বিধায়ক-নেতা তৃণমূলে যোগাযোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে এবার তৃণমূলকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘বাস্তবে কী হয়েছে, সবাই দেখেছেন। অনেক বিধায়ক-সাংসদরা ওই দল ছেড়ে এসেছেন… আগে নিজের ঘর সামলান…আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আমাদের বিধায়দের নিয়ে যান, আমরাও দেখে নেব’।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠক ঘিরে জোরদার চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুকুল রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যা ঘিরে জোর চর্চা চলছে। অন্যদিকে, দিলীপের বৈঠকের পরই ফেসবুক পোস্টে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হয়েছেন রাজীব। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলকে যে সুরে চ্যালেঞ্জ জানালেন দিলীপ, তা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দিলীপ বলেছেন, ‘রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা বাড়ছে। রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে। ২ তারিখ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। মুখ্যসচিবকে জানিয়েছে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যপালকেও জানিয়েছিলাম। বিরোধী শূন্য রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে। ২৩ জুন রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নামবে বিজেপি। ভ্যাকসিন নিয়ে ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি চলছে’।
Be the first to comment